সন্তানের পিতৃপরিচয় না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের বাসিন্দা সেই কলেজছাত্রী। গত ৬ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে তাঁর এই সন্তানের জন্ম হয়।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের একটি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন ওই ছাত্রী। তাঁর বাড়িতে এসে আরবি পড়াতেন ওই যুবক। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ছেলেটি বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। ৬ জানুয়ারি মমেক হাসপাতালে ওই কলেজছাত্রী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
এ নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘গৃহশিক্ষককে সন্তানের বাবা দাবি করে মাতব্বরদের কাছে কলেজছাত্রী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তা ছাড়া গত ১০ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনে ‘নবজাতক নিয়ে বাড়িতে অবরুদ্ধ কলেজছাত্রী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সন্তানের জন্মের ৬৩ দিন পার হলেও পিতৃপরিচয় না পাওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ওই কলেজছাত্রী। ঘটনার পর থেকে ওই যুবক পলাতক রয়েছেন। তাঁর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে এমন কাজ করতে পারে না—এই কথা আমি অনেকবার বলেছি। তবে আমার ছেলে যদি এমন কাজ করে, তাহলে বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষা করে প্রমাণ পেলে তা মেনে নিব।’
কলেজছাত্রীর মা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ বলে সঠিক বিচার পাচ্ছি না। অনেকের কাছে ঘুরেছি ফয়সালা পাইনি। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনাটি মীমাংসার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি।’
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।