নির্বাচনবিরোধী প্রচারপত্র বিলি ও নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীকে আটকের সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী হতাহত না হলেও চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৩ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম।
এর আগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে সদর উপজেলার হরিণধরা এলাকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী নির্বাচনবিরোধী প্রচারপত্র বিলি ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে, এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়।
একপর্যায়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা হযরত আলীকে আটক করা হলে উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ পাল্টা শটগানের গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৩ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। আটক করা হয় ৭ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্টের মামলার প্রস্তুতি চলছে।’