ময়মনসিংহের এপেক্স হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় ১৩ বছর বয়সী তাইয়্যিবা তাবাসসুম তন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে ত্রিশালে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নজরুল অডিটোরিয়ামের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে তন্দ্রার সহপাঠীসহ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে ‘আমার বোনের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘চিকিৎসার নামে ভুল মানি না’, ‘এপেক্স হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল কর’—এমন স্লোগান দিতে থাকে। বক্তারা বলেন, টনসিলের মতো সাধারণ অপারেশনে চিকিৎসকের অবহেলায় শ্বাসনালি কেটে মারা যায় কোমলমতি ছাত্রী তন্দ্রা। এ মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি চরম অবহেলার শিকার হয়ে মৃত্যু। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
তন্দ্রার বাবা গোলাপ মিয়া বলেন, ‘অপারেশন কক্ষে ঢোকার ৪০ মিনিট পর চিকিৎসক বের হয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে চলে যান। পরে জানতে পারি, অপারেশনের সময় মেয়ের শ্বাসনালি কেটে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এরপর তারা বিষয়টি গোপন রেখে অন্য হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে আইসিইউর নামে আমাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। আমি চাই না আর কোনো বাবা-মা এভাবে তাদের সন্তান হারাক।’
জানা যায়, গত শনিবার ত্রিশাল পৌর শহরের রাহেলা-হযরত মডেল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তন্দ্রাকে টনসিলের চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহের এপেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক কামিনী কুমার ত্রিপুরার পরামর্শে ভর্তি করা হলে অপারেশনের সময় শ্বাসনালি কেটে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক কামিনী কুমার ত্রিপুরা কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।