ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইটভাটা থেকে সবুজ আলী (৩৬) নামের এক শ্রমিককে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে নির্যাতনের শিকার ওই শ্রমিককে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ইটভাটার মালিক মো. খাইরুল আলম রাসেল (৪২) এবং ম্যানেজার মো. আসাদ মিয়াকে (৭০) গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
নির্যাতনের শিকার সবুজ আলী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সাম্ভান গ্রামের মো. আবজালের ছেলে। তিনি উপজেলার তরফ পাচাইল গ্রামে অবস্থিত এজিবি ব্রিকস ইটভাটার শ্রমিক।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে নাটোরের হালশা এলাকার ইটভাটার সর্দার আনসার আলী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এজিবি ব্রিকস ইট ভাটার মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম ৩ লাখ টাকা নিয়ে সবুজ আলীসহ মোট ১৮ জন শ্রমিক দেন। পরে তিনি লাপাত্তা হয়ে গেলে অন্য শ্রমিকেরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁরাও চলে যায়। থেকে যায় সবুজ আলী।
এ অবস্থায় পারিশ্রমিক না পেয়ে সবুজ আলী চলে যেতে চাইলে ইটভাটার মালিক ও ম্যানেজার বিষয়টি টের পান। এ অবস্থায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সবুজকে পায়ে লোহার শিকল পড়িয়ে কাজ করানো শুরু করেন। দিনভর তাঁকে কাজ করিয়ে রাতে মালিকের কক্ষে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হতো। এ ঘটনা জানতে পেরে সবুজের বাবা আবজাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।