জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাংবাদিক সমাবেশ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি মোড় এলাকায় এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকাস্থ জামালপুর সাংবাদিক ফোরাম ও বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের আগে দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক নাদিমের বাড়ি বকশীগঞ্জের নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমেরপাড়া এলাকায় যান ঢাকার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তাঁরা নাদিমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। পরে নাদিমের কবর জিয়ারত করেন। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকন। ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, ময়মনসিংহ নিউজ চ্যানেল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম হুসাইন শাহীদ, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জলিল, নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীদের আল বদর, রাজাকাররা যেভাবে পিটিয়ে, চোখ তুলে হত্যা করেছে, সেভাবেই নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে। সেই একাত্তরের রাজাকার-আলবদরের প্রেতাত্মারা নাদিমকে হত্যা করেছে। প্রকৃত নির্দেশ ও হুমকিদাতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নাদিম হত্যার বিচার শুরু করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম গত ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফেরার পথে রাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১৭ জুন নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান বাবু, তাঁর ছেলে রিফাতসহ ২২ জনের নামে এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। নাদিম হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁছজন এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে।