হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নির্যাতন: কথা বলতে গিয়ে সহকারী প্রক্টর অবরুদ্ধ, মারধরের শিকার ৪ সাংবাদিক

বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলে গতকাল শনিবার রাতে র‍্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের ঘটনা সমাধান করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর। চারজন সাংবাদিককেও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে শাহজালাল হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে র‍্যাগ দেওয়ার নামে নির্যাতন করে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি সুরাহা করতে গতকাল রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর কয়েকজন নিকটাত্মীয় ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. রিজওয়ানুল হক হলে যান। এ সময় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রভোস্ট কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন প্রভোস্ট ও সহকারী প্রক্টর। ছাত্রলীগের কয়েকজন সহকারী প্রক্টরের দিকে তেড়ে যায় এবং তাঁকে গালিগালাজ করে। এরপর সহকারী প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় প্রভোস্ট কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নির্বিকার ছিলেন। 

ঘটনার পর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপদস্থ হয়েছেন ক্যাম্পাসের তিনজন সাংবাদিক। তাঁরা অভিযোগ করেন, হলের ছাত্রলীগ কমিটির উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হৃদয় খান এবং ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীরা তাঁদের গালিগালাজ করে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। 

হেনস্তার শিকার তিন সাংবাদিক হলেন— ঢাকা পোস্টের বাকৃবি প্রতিনিধি মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর, দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার বাকৃবি প্রতিনিধি ইফতে খারুল ইসলাম সৈকত এবং ক্যাম্পাস লাইভ২৪ ডটকমের বাকৃবি প্রতিনিধি রায়হান আবিদ। 

পরে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান এসে বিষয়টি সুরাহা করার দায়িত্ব দেন ওই হলের ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল শাকিলকে। নাজমুল শাকিল ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান। রাত ১টার দিকে সাংবাদিকেরা শাহজালাল হল থেকে নিজ নিজ হলের উদ্দেশে বের হন। পথে ৮ থেকে ১০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শহীদ শামসুল হক হলের সামনে ওই তিন সাংবাদিকসহ দৈনিক এশিয়ান এজ পত্রিকার বাকৃবি প্রতিনিধি আতিকুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। 

এ সময় ক্যাম্পাস লাইভ২৪ ডট কমের বাকৃবি প্রতিনিধি রায়হান আবিদের সাইকেল ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। পরে আহত সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

ওই ঘটনার পরে রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নাজমুল আহসান হলের গেস্টরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে বসেন ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

পরে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন। রাত আড়াইটার দিকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রক্টর। এ সময় দুজন সহকারী প্রক্টরও উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। 

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই হামলায় কী ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখার বিষয়। তাঁদের লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যায় তদন্ত কমিটি হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। দোষীদের শাস্তির আওতায় না আনায় প্রশাসনের এরূপ রহস্যময় নীরব ভূমিকার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বাড়ছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘হলে র‍্যাগিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সহকারী প্রক্টর আমাকে না জানিয়ে হলে গেলে আমার সামনে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পূর্ব ক্ষোভ থাকতে পারে।’

ময়মনসিংহে নিহত দীপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড

নড়বড়ে বাঁশে ঠেস দেওয়া ৪৮০ ভোল্টের খুঁটি

বিস্ফোরক মামলায় সাবেক এমপি সারোয়ার কারাগারে

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

দিপুকে হত্যার পর ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

দিপু চন্দ্রকে জোরপূর্বক চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়: র‍্যাব

ময়মনসিংহের নান্দাইল: নদীর জায়গা দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট

দিপুকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন