হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

‘আমরা সবাই তাঁকে ভোট দিয়েছি, তাই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না’

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে হেরে টাকা ফেরত পেতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন ইসলামপুর উপজেলার এক প্রার্থী। উপজেলার চরপুটিমারী ও চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ সদস্যেরা নির্বাচনে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েও তাঁকে ভোট দেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩ নম্বর (ইসলামপুর উপজেলা) ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক সরদার। নির্বাচনে ১৭১টি ভোটের মধ্যে টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মজিবুর রহমান শাজাহান অটোরিকশা প্রতীকে ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, নির্বাচনে জিততে আব্দুর রাজ্জাক সরদার ১৭১ জন ভোটারের মধ্যে ৯৮ জনকে ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। নির্বাচনে হেরে এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাইছেন তিনি। টাকা ফেরত চাইলেও তা ফেরত দিচ্ছেন না ইউপি সদস্যরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আব্দুর রাজ্জাক সরদার চরপুটিমারী ও চরগোয়ালিনী ইউপির ভোটারদের কাছে যান। সেখানে তিনি আলাদা আলাদাভাবে ভোটারদের সঙ্গে টাকা ফেরত পেতে বৈঠক করেন। তবে এখনো কেউ টাকা ফেরত দেননি বলে দাবি করেছেন আব্দুর রাজ্জাক সরদার।

চরপুটিমারী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভোটারদের অনেকেই টাকা দেন। সেই হিসেবে ওই প্রার্থীও আমাদের টাকা দিয়েছেন। নির্বাচনে হেরে তিনি দুবার পরিষদে টাকা নিতে এসেছেন। তবে আমরা সবাই তাঁকে ভোট দিয়েছি। তাই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, ‘নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের সম্মানের কথা চিন্তা করে ভোটারদের মাঝে সব মিলিয়ে ৪০ লাখ টাকার মতো খরচ করেছি। কিন্তু ভোট পেয়েছি মাত্র ৪৮ টি। বাকি ৫০ জন টাকা নিয়েও আমাকে ভোট দেননি। তাহলে অবশ্যই তাঁরা অন্য প্রার্থীর কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে ভোট দিয়েছে। এখন টাকা ফেরত চাইলে ভোটারেরা বলে তারা সবাই নাকি আমাকে ভোট দিয়েছে। সবাই যদি ভোট দিয়ে থাকেন, তাহলে আমি পরাজিত হলাম কীভাবে! এত বড় বেইমানি মানুষ কেমনে করে। টাকা বড় কথা নয়, এসব ভোটারের মুখোশ উন্মোচনের জন্য টাকা ফেরত চাচ্ছি।’

জামালপুর জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘ভোট কেনার মহোৎসব জেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েও ভোট না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে পরাজিত অনেক প্রার্থীই ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকেরা ভোট কিনে বিজয় হওয়া এসব জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে ন্যূনতম নাগরিক সেবা পাবেন বলে বিশ্বাস হয় না।’

উল্লেখ্য, আব্দুর রাজ্জাক সরদার ২০২১ সালের নভেম্বরে গাইবান্ধা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে এরই মধ্যে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন।

গফরগাঁওয়ে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে নাশকতা, সোয়া ৩০০ জনকে আসামি করে দুই মামলা

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ বিভাগ: অবৈধভাবে চলছে ৪৫৯ ইটভাটা

ময়মনসিংহে সদস্যপদ স্থগিত জামায়াত নেতার মনোনয়নপত্র দাখিল

ত্রিশালের এমপি হতে চান ভিক্ষুক আবুল মুনসুর, জমা দিলেন মনোনয়নপত্র

গফরগাঁওয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত: গতি কম থাকায় রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা

ভালুকায় শ্রমিকবাহী বাস উল্টে এক শ্রমিক নিহত, আহত ২০

রেললাইন খুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা, ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবেক এমপি শাহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ