শেরপুরে ক্লিনিক থেকে আড়াই মাস বয়সী এক কন্যাশিশুকে চুরি করে প্রায় ২ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত নারীর নাম জরিনা। তিনি সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত জরিনার মেয়ে সাবিনা, সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া ও টাঙ্গাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার জন্য শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পূর্বপরিচিত জরিনা শিশুটির মাকে বোকা বানিয়ে তাঁর মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করেন। পরে টাঙ্গাইল সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে। গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জরিনাকে শহরের মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টাঙ্গাইল থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু লাবিবাকে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আজ আদালতে পাঠানো হয়। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।