ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৩) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মহাব্বত আলী (৪৮) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন সানন্দখিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, আজ সকালে তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন অভিযুক্ত মহাব্বত আলীসহ নজরুল ও গণিকে। এ সময় মেয়ে বাড়িতে ছিল। কিছুক্ষণ পর তিনি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
দীর্ঘ সময় পর মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ভুক্তভোগীর মা আশপাশে খুঁজতে থাকেন। এ সময় তাঁর মনে হয়, মেয়ের সঙ্গে নজরুল আর মহাব্বতকে কথা বলতে দেখেছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তিনি পাশের আছিয়া খাতুনের বাড়ি যান। এ সময় আছিয়া খাতুন তাঁর মেয়েকে দেখেননি বলে জানান।
সেখান থেকে চলে আসার সময় হঠাৎ আছিয়া খাতুনকে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পরে তিনি ঘরের পেছন দিয়ে আবার সামনে এলে দরজার তালা ঝুলতে দেখেন। এ সময় আছিয়া খাতুন তালা খুলে দিতেই নজরুল ও গণি ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগীর মা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ওরা এর আগেও মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কিছু বলতে পারি নাই। আজ সন্দেহ হলে আমি ছুটে যাই ঘরে। গিয়ে দেখি, মেয়ে পড়ে আছে। খাটের নিচে মহাব্বত লুকিয়ে রয়েছে। আমি চিৎকার করতে থাকি। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে খাটের নিচ থেকে মহাব্বত আলীকে বের করেন। তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন এলাকার লোকজন।
‘এ সময় ঘরের ভেতরে তিনটি ডিম ও কিছু টাকা পাওয়া যায়। মেয়েকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, তাঁরা ডিম ও টাকার প্রলোভনে ঘরের ভেতর নিয়ে খারাপ কাজ করে। আমি মামলা দেব। ওদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার হাতে ডিম আর টাকা দিয়ে একটা ঘরে নিয়ে যায় নজরুল, গণি আর মহাব্বত। পরে তারা আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দিন সরকার মামুন বলেন, ‘মেয়েটির বয়স অল্প। দুঃখজনক একটি ঘটনা। ধোবাউড়ায় একটা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ ঘটনা আমি শুনেছি।’
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই কিশোরীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।