ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ওষুধ কোম্পানি দি একমি ল্যাবরেটরিজের গফরগাঁও উপজেলা বিক্রয় প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন (৩৩) তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত বুধবার দুপুর থেকে তিনি নিখোঁজ উল্লেখ করে রাতেই গফরগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর স্ত্রী মোসা. উম্মে কুলসুম। আজ শুক্রবারও তাঁর খোঁজ না পাওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
সাধারণ ডায়েরির তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার দুপুরে গফরগাঁও পৌরসভার জন্মেজয় এলাকার হাসপাতাল রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর বাসায় ফেরেননি মো. মোফাজ্জল হোসেন। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আট বছর ধরে গফরগাঁও পৌর এলাকায় বসবাস করছেন।
মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী উম্মে কুলসুম বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে কোম্পানির ওষুধের টাকা আদায়ের জন্য বাসা থেকে বের হন মোফাজ্জল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। গত এক মাসে তোলা ৩ লাখ টাকা বুঝিয়ে দিতে ময়মনসিংহে বিভাগীয় অফিসে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।’
উম্মে কুলসুম আরও বলেন, ‘মোফাজ্জলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বাসায় রেখে গেছেন। তবে কোম্পানির দেওয়া মোবাইল ফোনটি তাঁর সঙ্গে ছিল। কিন্তু তাও বন্ধ পাওয়া যায়। কোম্পানির মোটরসাইকেলটি গফরগাঁও বাজারের একটি ওষুধের দোকানে পাওয়া গেছে।’
নিখোঁজ মোফাজ্জল হোসেনের সহকর্মী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘বুধবার বিকেলেও মোফাজ্জলের সঙ্গে দেখা হয়েছে। রাতে আমরা একসঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগীয় অফিসে যাওয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে।’
ময়মনসিংহ বিভাগীয় অফিসের বিক্রয় ব্যবস্থাপক সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার দুপুরে উপজেলা বিক্রয় প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন ১ লাখ টাকা অনলাইনে পাঠিয়েছেন। রাতে ময়মনসিংহ অফিসে আসার কথা ছিল।’
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মোফাজ্জলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।