রাত ৯টায় একই কক্ষে ধরা পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকা। এরপর ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেন প্রেমিকার দাদা। এখন কারাগারে কিশোর প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী বয়ারমারা এলাকায়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর ছেলে ও পুত্রবধূ ঢাকায় কাজ করেন। তাঁদের মেয়ে (১৫) কৈয়ারচালা পূর্বপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। থাকে দাদা-দাদির সঙ্গে বয়ারমারা গ্রামে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বাড়িতেই অবস্থান করছে সে। এর মধ্যে প্রতিবেশীর ছেলের (১৬) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একপর্যায়ে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে ওই কিশোরকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তারা কারও কথায় কর্ণপাত করেনি। সম্পর্ক দিন দিন গভীর হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে মেয়ের দাদি রাতের খাবার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে তার ঘরের দিকে গিয়ে দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখেন। নাতনিকে ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় তাঁদের সন্দেহ হয়।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে দরজা খুললে দুই কিশোর-কিশোরীকে একসঙ্গে পান তাঁরা। এ সময় কেন মেয়ের ঘরে এসেছে এ কথা জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি কোনো উত্তর না দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাধ্যমে জানা যায়, জরুরি কথা বলার অজুহাতে কিশোর ঘরে ঢোকে। সে বিয়ের আশ্বাস দেয় ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। কোনো সমাধান না পেয়ে গত ১৮ অক্টোবর ওই কিশোরকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন মেয়ের দাদা। পরে পুলিশ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে ১৯ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।