জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট তানভির আহম্মেদের আদালতে তিনি এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আজ বেলা দেড়টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট তানভির আহম্মেদের আদালতে তোলা হয়। পরে মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল চার দিনের রিমান্ড শেষে রেজাউল ও মনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হলো।
১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম। সাংবাদিক ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান।
পরে বকশীগঞ্জ থানায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ও রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছি।’
তাঁর দাবি, মামলার ২ নম্বর আসামি বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত ও বাকি বিল্লাহ্ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিতে হবে। এ ছাড়া সব হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান তিনি।