নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরী। এ ঘটনায় করা মামলায় শাহ আলম মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার শাহ আলম উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের খারনৈ গ্রামের মৃত মো. সাহেদ আলীর ছেলে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী বান্ধবীদের নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার একটি ইসলামি সভা শুনতে যায়। রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে পাশে খালার বাড়িতে খাবার খেতে যায় তারা। একপর্যায়ে পুকুরে হাত-মুখ ধুতে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা একই এলাকার লিমন মিয়া ওরফে বাব্বা ও রুবেল মিয়া তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া শাহ আলম মিয়ার কাছে সহায়তা চাইলে তিনিও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজি পর ওই কিশোরীকে খেতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেন খালার বাড়ির লোকজন।
পরে পরিবারের লোকজনের পরামর্শে গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলমাকান্দা থানায় ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় লিমন মিয়া ওরফে বাব্বা, রুবেল মিয়া ও শাহ আলম মিয়াকে আসামি করা হয়।
আজ বুধবার ভোরে ওসি আবুল কালামের নেতৃত্ব খারনৈ গ্রামে অভিযান চালিয়ে শাহ আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম জানান, গ্রেপ্তার শাহ আলম মিয়াকে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।