জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে মো. শ্রাবণ (২০) নামে এক যুবক বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। এর আগে গত শনিবার সকাল ৯টা দিকে বিষপান করে। নিহত শ্রাবণ মেলান্দহ পৌরসভার শ্যামপুর এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত শ্রাবণ বিয়ে করবেন বলে পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন কিছুদিন পরে বিয়ে করতে বলেন। এরমধ্যেই কয়েক দিন আগে একটি (পাত্রী) মেয়ে দেখেন পরিবারের লোকজন। ওই মেয়ে পছন্দ হলেও পরিবারের লোকজন ও শ্রাবনের চাচা সেই বিয়েতে রাজি হননি।
এ নিয়ে শ্রাবণ তাঁর বড় বোনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করে। পরে রাগ অভিমানে গত শনিবার সকালে বাড়ির পাশে ধান খেতের মাঠে গিয়ে বিষ পান করে বাড়িতে আসে শ্রাবণ। পরে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রাবণ টয়লেটে গিয়ে গোপনে পানি পান করে। পানি পান করার কিছুক্ষণ পরেই শ্রাবণের মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় বোন মোছা. আশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রাবণ বলেছিল বিয়ে করবে। আমরা কিছুদিন পরে বিয়ে করতে বলি। সে মানবে না। এ নিয়ে রাগ অভিমানে বিষ খায়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা সাধারণত বিষ খাওয়া রোগীদের ৭২ ঘণ্টা পানি না খাওয়ার জন্য বলি। একাই হেঁটে চলাচল করতে পারতো। রাতে পানি খেয়েছিল। পানি খাওয়ার ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেয়েছে। পরিবারের সঙ্গে রাগ অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনা একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’