ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে গত ১০ জানুয়ারি শিক্ষক লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের একাংশ গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে এই অনাস্থার কথা জানায় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রবিষয়ক বিভাগ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমরা মনে করি। অথচ, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও সহকারী প্রক্টরকে তদন্ত কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। এই কমিটির কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করা যায় না। তাই এই কমিটি বাতিল করে আগামী এক দিনের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় প্রক্টরের অপসারণ ও ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি প্রদানের দাবিও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি অনুমতি ছাড়া শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষকদের লাঞ্ছনা এবং এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে। এ সময় ড. পূর্বা এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিকে লাঞ্ছিত করা হয়। একই সঙ্গে ভেটেরিনারি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব দুর্বারকে মারধর করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১১ জানুয়ারি মানববন্ধন করে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশ। তারা প্রক্টরের অপসারণ, দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহাকে সভাপতি এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।