ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ যাত্রী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন হযরত আলী নামে এক যাত্রী।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খৈরাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এতে আহতরা হলেন মজিবুর রহমান (৫০), শামীম মিয়া (৩৭), হানিফ মিয়া (৩০), রিয়াজ উদ্দিন (৫১), হযরত আলী (৫০), সোহেল (৩২), রাহেলা খাতুন (৬৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫৩), জালাল উদ্দিন (৬৫), আব্দুর রশিদ (৮০) ও কামরুজ্জামান ভূঁইয়া (৪৫)।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি দল আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাস মহাসড়ক থেকে সরিয়ে ফেলে ফায়ার সার্ভিসের টিম।
বাস যাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার সকালের দিকে ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খৈরাটি এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী এম কে সুপার বাসের সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী শ্যামলছায়া বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাস দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের ওপরে পড়ে। এতে দুই বাসে থাকা ১১ যাত্রী আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি দল আহতদের উদ্ধার করে। মহাসড়কে দুটি বাস পড়ে থাকায় আধা ঘণ্টার মতো মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়।
ময়মনসিংহগামী এম কে সুপার বাসের যাত্রী বেদেনা বলেন, ‘আল্লাহ বাঁচাইছে, আমি বাসের পেছনের দিকের সিটে বসা ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে জোরে একটা ঝাঁকুনি লাগে। ওঠে দাঁড়িয়ে দেখি আমাদের বাসের সঙ্গে অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে উপড়ে পড়ে গেছে।’
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাম প্রসাদ পাল বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বাস দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বাস দুটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’