ময়মনসিংহের নান্দাইলে গরু চুরির অভিযোগ এনে মো. রসুমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দিয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। আগুনে বাড়ির ২০টি ঘর পুড়ে যায়, বাড়িতে থাকা ৩৫ গরু, ৫০০ মণ ধানসহ বসত ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও আগুন দেওয়ার আগে বাড়িতে থাকা ওই পরিবারের সদস্যদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার সকালে মানিক মিয়ার গোয়াল ঘরের পেছনে একটি গরু পাওয়া যায়। ওই গরুটি চোরাই বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় সংগ্রামখালী বাজারে মাইকিং করে রসুমুদ্দিনের বাড়ি-ঘরে হামলা চালান গ্রামবাসী। এ সময় তাঁরা রসুমুদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে মালামাল লুট করে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে রসুমুদ্দিনসহ তাঁর পাঁচ ছেলে মতিবুর রহমান, আতাবুর রহমান, সুমন মিয়া, মানিক মিয়া ও সোহেল মিয়ার বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) আফরোজা নাজনীন, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল ও নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রসুমুদ্দিনের দাবি, ২০২১ সালে একটি খুনের ঘটনায় প্রতিবেশী মৃত আছাম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান ও জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। তবে হাবিবুর রহমান জানান, রসুমুদ্দিন ও তাঁর ছেলেরা প্রকৃত গরু চোর এবং এটা চোরের বাড়ি। তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ৪-৫ গ্রামের লোকজন বাড়ি-ঘরে হামলা দিয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আফরোজা নাজনীন, চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নান্দাইল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।