ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে ময়মনসিংহের চালকেরাও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও ব্যাংকের চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার সকালে নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনাল ও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে গিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যাংকের চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি দেখা যায়।
চাকরিপ্রার্থী শামীমা আফরিন জানান, শুধু ব্যাংক নয়, খাদ্য ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা হবে আজ। ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বাস বন্ধ থাকায় অনেকে বিপাকে পড়েছেন।
চাকরিপ্রার্থী কামরুল হাসান বলেন, `খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমান সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে বাস টার্মিনালে এসে জানতে পারলাম কোনো বাস ছেড়ে যাবে না। এখন কীভাবে ঢাকায় যাব, এটা বুঝতে পারছি না। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে থাকে। বেকার যুবসামজের কথা মাথায় রেখে ঘোষণা দিয়ে এক দিন পরে শনিবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে পারতেন মালিকেরা।'
ময়মনসিংহ-ধোবাউড়ার জনৈক বাসচালক বলেন, `হঠাৎ করে প্রতি লিটার ডিজেলে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।'
এনা পরিবহনের চালক খন্দকার হানিফ বলেন, ‘হঠাৎ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের মতো গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের মালিক ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি মানলেই রাস্তায় গাড়ি চলবে।’
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বলেন, `হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায় সারা দেশের মতো ময়মনসিংহের চালক ও মালিকেরা গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আশা করছি সরকার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দাবি মেনে নেবে।'
এদিকে হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে ট্রেনে। সকাল থেকে স্টেশনে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ময়মনসিংহ স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় স্টেশনে যাত্রীর চাপ একটু বেশি ছিল। তবু লোকজন যে যেভাবে পারে ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে গেছে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, `ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় আমরা চেষ্টা করছি।'