‘তুই বড় সাংবাদিক হইছস, মাদক নিয়া লেখালিখি করস, তরে বাঁচতে দিমু না।’ এমন কথা বলেই হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। তাতে সাংবাদিক জালাল উদ্দিন মণ্ডল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার স্থানীয় বাণিজ্য বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত জালাল উদ্দিন মণ্ডল (৪৫) দৈনিক জনতা পত্রিকার নান্দাইল প্রতিনিধি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জহিরুল ইসলামকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় রসুলপুর বাণিজ্য বাজারে কোরবানির গরু কিনতে যান জালাল উদ্দিন মণ্ডল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে থাকা রসুলপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করতে আসা স্থানীয় এক যুবক খররম মিয়াকেও আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা জহিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। জালাল উদ্দিন মণ্ডল নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।
আহত সাংবাদিক জালাল উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘কোরবানির গরু কিনতে স্থানীয় বাজারে যাই। সেখানে গেলে জহিরুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী আমাকে বলে, “বড় সাংবাদিক হইছস, মাদক নিয়া লেখালিখি করস, তরে বাঁচতে দিমু না।” এই বলে মাথায় আঘাত করে।’
খবর পেয়ে নান্দাইলে কর্তব্যরত সাংবাদিক নেতারা আহত জালাল উদ্দিন মণ্ডলকে দেখতে যান। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক জহিরুলকে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।