মেহেরপুরে জেনারেল হাসপাতালের পাশেই করোনার নমুনা পরীক্ষার বুথ। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইন বুথের প্রাচীর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এতে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসে লাইনে দাঁড়ানো রোগীদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
মাস্ক না পরার বিষয়ে জানতে চাইলে রোগীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। মাস্ক পরেননি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে লাইনে দাঁড়ানো এক রোগী বলেন, ‘মাস্ক নিয়ে এসেছি কিন্তু পরা হয়নি। কারণ মাস্ক পরলেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাই মাস্ক পরিনি।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আর. এম. ও বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। অথচ সেগুলোও আমরা মানছি না। আমরা চেষ্টা করছি তাদের বোঝানোর। কিন্তু আমরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগের মতো অবস্থা। আসলে কেউই নিয়ম মানতে চান না। সরকারি বিধিমোতাবেক প্রত্যেক মানুষের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। অথচ মানুষ তা মানছে না। ফলে হাসপাতাল, বাজার, চায়ের দোকান থেকেই ছড়াচ্ছে করোনা।’
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭৯ জন। আজ সোমবার সুস্থ হয়েছেন চারজন। তারা সকলেই সদর উপজেলার। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ৪৯টি নমুনা পরীক্ষা থেকে ২৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি নমুনা পরীক্ষা থেকে শনাক্ত হয়েছে দুজন ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি নমুনা থেকে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচজনই।