মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. রাহুল আহমেদ খান (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচরের হানিফের ডাঙ্গার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহুল আহমেদ খান ধল্লা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও মেদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম খানের ছোট ছেলে।
নিহতের স্বজন ও থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ দিন আগে ধল্লা ইউনিয়নের কামুরা গ্রামের কয়েক যুবকের সঙ্গে রাহুল ও তার বন্ধুদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে সোমবার রাতে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাহুল, আসিফ, রাসেলসহ কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও রাহুলকে ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামলায় আহত রাসেল জানান, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় মো. তরিকুল ও মো. রাজীবকে তিনি চিনতে পেরেছেন। বাকিদের চেহারা মনে আছে, দেখলে চিনতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমি দৌড়ে পালিয়ে জীবন বাঁচালেও রাহুলকে ওরা ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করে।’
রাহুলের বন্ধু আসিফ জানান, হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি, রড, দা ও ছুরি হাতে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। তাকে বাঁশের লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। রাহুলকে দা ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি দোকান থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, আমার ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার শরীরজুড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।’
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।