পদ্মার তীব্র স্রোতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পাটুরিয়া ঘাটের ৪ নম্বর ফেরিঘাটটি পানিতে ডুবে অচল হয়ে পড়ে। আর সংস্কারকাজের জন্য বেলা দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় ৩ নম্বর ঘাট। এতে পাঁচটি ঘাটের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র দুটি।
ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ঘাটে দীর্ঘ যানজট ও অপেক্ষায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনশ্রমিকেরা।
দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় দূরপাল্লার বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পণ্যবোঝাই অসংখ্য যানবাহনের সারি টার্মিনাল ছাড়িয়ে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে গেছে।
কুষ্টিয়াগামী যাত্রীবাহী বাসচালক আমির হোসেন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় ঘাটে এসেছি। এখন বেলা আড়াইটা বাজলেও ফেরি পার হতে পারিনি। যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে উঠছেন।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রাকচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতে ঘাটে এসেও ফেরি পার হতে পারিনি। মালামাল সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ঘাট বন্ধ থাকে, কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান নেই।’
ফেরি শাহ-পরানের মাস্টার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে মূল চ্যানেলে ফেরি চালানো মারাত্মক কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ সময় লাগছে প্রতিটি ট্রিপে। এতে ট্রিপ কমে গিয়ে যানজট আরও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরির মধ্যে ১০টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে আরিচা থেকে ধানসিঁড়ি ও শাহ-পরান নামের দুটি রো রো ফেরি যুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম আব্দুস সালাম জানান, নিয়মিত মেরামতকাজ চলছে। তবে স্থায়ী সমাধান নির্ভর করছে নদীশাসন প্রকল্পের ওপর।