মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় থানায় অভিযোগ করেন স্বজনেরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আজগর আলী (৬০) রায়দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। হত্যার এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. আল-আমিন (৪২) পলাতক রয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির স্বজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজগর আলীর নাতনি একটি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। শিশুটিকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে আল-আমিন উত্ত্যক্ত করে আসছেন। এ নিয়ে মেয়েটির স্বজনেরা বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে গত সোমবার আজগর আলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করার পর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন আল-আমিন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন ৪-৫টি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যান। এ সময় তাঁরা তাঁকে দোকান থেকে টেনে বাইরে বের করে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আজগর আলী আগেই মারা গেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালামসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আল-আমিন এলাকায় মাদক সেবন, মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও হত্যার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত আল-আমিন ও তাঁর সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।