মাদারীপুরে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতা এবং তাঁর দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় বিএনপির মিছিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত তিনজন হলেন মাদারীপুর পৌরসভার নতুন মাদারীপুর গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে লিখন মুন্সি (৩৫), মিলন মুন্সি (৩০) ও সোহাগ মুন্সি (২৮)। তাঁদের মধ্যে লিখন পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি শ্রমিক দলের নেতা শাকিল মুন্সি হত্যা মামলার আসামি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উপলক্ষে আজ মাদারীপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে একটি বিজয় মিছিল হয়। এটি শকুনি লেকেরপাড় থেকে বের হয়ে ইটেরপুলের দিকে যাচ্ছিল। এতে অংশ নেন লিখন, মিলন, সোহাগ এবং তাঁদের আরেক ভাই শ্রমিক দলের নেতা সেলিম মুন্সি।
মিছিল চলাকালে পেছন থেকে সোহাগের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় কুপিয়ে জখম করা হয় তাঁকে। ভাইকে বাঁচাতে লিখন ও মিলন এগিয়ে এলে তাঁদেরও কোপানো হয়। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আহত তিন ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে।
আহত মিলন বলেন, ‘আমার ভাইকে কোপাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা। পরে আমি ও আমার আরেক ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের কুপিয়ে জখম করা হয়। আমি অনেককে চিনি। আপাতত তাদের নাম বলব না। তবে তাদের নামে মামলা করা হবে। এই ঘটনায় আরেক ভাই শ্রমিক দলের নেতা সেলিম মুন্সি দূরে থাকায় তাঁকে কোপাতে পারেনি।’
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিক দলের নেতা শাকিল মুন্সি হত্যাকাণ্ডের জেরে এই হামলা হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ রাতে নতুন মাদারীপুরে সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি (একাংশ) এবং নতুন মাদারীপুরের মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৬ মার্চ নিহতের বড় ভাই হাসান মুন্সি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৬৭ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় লিখনকে।