রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী কাজী মোর্শেদ কাব্য (১৩)। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
কাজী মোর্শেদ কাব্য মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের মৃত কাজী রোমেলের ছেলে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার বাবা কাজী রুমেল ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল মারা যান। তাঁর স্বপ্ন ছিল ছেলেকে চিকিৎসক অথবা ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। সে স্বপ্ন পূরণ করতে মা রোমেলা আহসান কাব্যকে ভর্তি করেন রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অনেকেই নিখোঁজ ছিল। ঘটনার পর কাব্যও নিখোঁজ ছিল। এ খবর গ্রামের বাড়িতে এলে পরিবারে চলে শোকের মাতম। পরে খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা জানতে পারেন, কাব্য ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় তার পরিবার। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
আহত কাব্যের চাচা কাজী রাসেল বলেন, ‘আমার ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণে কাব্যকে তার মা ওই স্কুলে ভর্তি করেন। কিন্তু হঠাৎ বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় কাব্য। তার শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। আল্লাহর রহমতে বর্তমানে কাব্য সুস্থ ও ভালো আছে।’