ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আজ সোমবার রাত নয়টা থেকে মাদারীপুরে বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বেড়েছে। ঝোড়ো বাতাসে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শতাধিক গাড়ি সড়কের দুপাশে আটকে পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকে বাতাস শুরু হলে গাছগুলো পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ গাছ সরালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জেলার নিম্নাঞ্চলসহ অনেক স্থানেই তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে ফসলের খেত। এদিকে পদ্মাবেষ্টিত শিবচরের চরাঞ্চলের নদীরপাড় ঘেঁষা বাসিন্দাদের অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দীন সোহেল বেপারী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে বাসিন্দারা যেন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়। আমরা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
বন্দরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সাদ্দাম বলেন, এখানে প্রাথমিকভাবে খাবার পানি ও শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখনো সাইক্লোন শেল্টারে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম রসুল বলেন, মহাসড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়ে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। প্রচুর বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে কাজে সমস্যা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সোয়া নয়টা থেকে জেলার কোথাও কোনো বিদ্যুৎ নেই।