ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের নিমতলায় বাসচাপায় মাদারীপুরের একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্ত চালকের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে এক ঘণ্টার বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ইমাম-মুয়াজ্জিন সমাজ কল্যাণ পরিষদ মাদারীপুর জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেন বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় তৌহিদি জনতা। বক্তারা বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচালককে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় জেলার সব সড়কে ওই পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইমাম-মুয়াজ্জিন সমাজ কল্যাণ পরিষদের জেলা সভাপতি আল্লামা আলী আহমাদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান, সাবেক আমির অধ্যাপক মাওলানা ছোবাহান খান, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমেদ, হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আকরামুল, ইমাম-মুয়াজ্জিন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম খানসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, ৮ মে সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুর এলাকার মাওলানা বিল্লাল ফকির তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মুন্সিগঞ্জের নিমতলায় দুর্ঘটনার শিকার হন। এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে গেলে সেটি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে চাকা বদলাচ্ছিলেন চালক। এ সময় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিল্লাল ফকির, তাঁর বাবা সামাদ ফকির, মা সাহেদা বেগম, ছোট বোন আফসানা আক্তার ও চালক মাহবুব সরদার।