হোম > সারা দেশ > লালমনিরহাট

রাতভর দাদন ব্যবসায়ীদের নির্যাতন, সকালে মিলল দিনমজুরের ঝুলন্ত লাশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

ছবি: প্রতীকী

লালমনিরহাট সদরে চড়া সুদে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য দাদন ব্যবসায়ীদের রাতভর নির্যাতনের শিকার হওয়া এক দিনমজুরের ঝুলন্ত লাশ মিলেছে পরদিন সকালে।

নিহত দিনমজুরের নাম ফারুক হোসেন। তিনি পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কিসামত নগরবন্দ গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মজিবর গতকাল শুক্রবার রাতে সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ মামলার দুই নম্বর আসামি স্বপন কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও বড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাশের দিনাদলি সুবারবাড়ির গ্রামের এরশাদ হোসেন, সুবাস চন্দ্র ও মুকুল চন্দ্র দাদন ব্যবসা করেন। এর সুদ সবাই ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। তাঁদের গ্রামে বসবাস করতেন দিনমজুর ফারুক। অভাবে সংসারে খরচ জোগাতে তিনি এরশাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার, সুবাসের কাছ থেকে ২০ হাজার ও মুকুলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চড়া সুদে ঋণ নেন। যার অধিকাংশই পরে পরিশোধ করে দেন। এরপরও সুদ-আসলে ২ লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি।

চক্রের চাপে তিন মাস আগে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যান দিনমজুর ফারুক। তিনি স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই পথ থেকে তাঁকে আটকে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে যান দাদন ব্যবসায়ীরা। সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ফারুকের স্ত্রী রাশিদা বেগম আস্তানায় গিয়ে স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কিছুতেই মন গলেনি চক্রটি। নিরুপায় হয় স্বামীকে চক্রের কাছে রেখে নিজের কাজে ফেরেন স্ত্রী। পরদিন শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাঁশবাগানে ফারুকের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ফারুকের স্ত্রী রাশিদা বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে রাস্তায় জাহাঙ্গীরের লোকজন আটক করে গাড়িতে তুলে কালিরপাটে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার স্বামীকে মারপিট করে। কয়েক দিন পরে টাকা পরিশোধ করার শর্তে আমি স্বামীকে নিতে গেলেও তারা দেয়নি। সকালে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখি। আমার স্বামীর কাপড়ের ব্যাগ মিলেছে তাদের একজন সুবাসের বাড়িতে। দাদন ব্যবসায়ীরা আমার স্বামীকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী বলেন, ‘পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি না করলেও আসামিরা তাঁর নিকট থেকে টাকা নিয়ে ভিকটিমকে দাদনে দিয়েছেন বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন। তদন্তে তাঁর সংশ্লিষ্টতা থাকলে অবশ্যই তা আমলে নেওয়া হবে। এ মামলায় দুই নম্বর আসামি স্বপন কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

অর্থাভাবে নিভে যাচ্ছে শিশু সাব্বিরের চোখের আলো

সার সংকটে ক্ষুব্ধ কৃষকদের মহাসড়ক অবরোধ

ফসলি জমি থেকে পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার

হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

সীমান্তে ছররা গুলি ছুড়েছে বিএসএফ, পতাকা বৈঠকে অসম্মতি

বুড়িমারী স্থলবন্দর: ভারতীয় ট্রাক থেকে ওষুধ ও সিসা জব্দ, চালক আটক

সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল বিএসএফ

মেঘমুক্ত আকাশে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, তিস্তার তীরে দর্শনার্থীর ভিড়

ধর্ষণচেষ্টার মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি