পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নদীভাঙন কবলিত স্থানীয় জনসাধারণ। আজ সোমবার উপজেলার তালবাড়ীয়ায় পদ্মা নদীর তীরে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনসাধারণের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন।
পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়ি বাঁধ নির্মাণসহ দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পদ্মার নদীর তীব্র ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কটি। নদী এখন কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কে থেকে মাত্র একশ মিটার দূরে অবস্থান করছে। জরুরি ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই মহাসড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে কামারুল আরেফিন বলেন, বহু বছর ধরে এ এলাকায় পদ্মার ভাঙন চলছে। এই ভাঙন রোধে গত বছর স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯৯০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তা এখনো আটকে আছে। কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। পাশাপাশি কুষ্টিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন, তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা প্রমুখ।