কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নিজ ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির লাশ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বাহিরচর ইউনিয়নের ফারাকপুর গোরস্তানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন ফরিদ উদ্দীন (৭৫) ও রাবেয়া খাতুন (৬৫)। পুলিশ দুপুরে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ বলছে, রাবেয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ফরিদের গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে। সেখানে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়াকে নিয়ে ভেড়ামারায় বসবাস করতেন। বাড়ির পাশে আলাদা স্থানে রাবেয়ার প্রথম পক্ষের দুই ছেলে থাকেন।
আজ সকালে নাতিরা এসে দাদা-দাদিকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ঘরের ফাঁক দিয়ে ফরিদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে।
রাবেয়ার ছেলে রাজিব জানান, তাঁরা আলাদাভাবে বসবাস করতেন। উল্লেখ করার মতো কোনো পারিবারিক কলহ তাঁদের মধ্যে ছিল না। এমন ঘটনা কেন ঘটল, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিনের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল। বিছানায় লেপ দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় রাবেয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর গলা ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল ফরিদের লাশ। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রাবেয়াকে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আসল কারণ জানা যাবে।