কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার কয়েকটি এলাকার প্রায় ৪০টি পরিবারের বাড়িঘর নদে বিলীন হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় নতুন করে ভাঙন-আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। অনেকে স্থানান্তর করছেন ঘর।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি, করাই বরিশাল, বৈলমন দিয়ারখাতা, ও নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়ার খাতা এলাকায় কয়েক দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় ৪০টি পরিবারে বাড়িঘর। হুমকির মুখে রয়েছে ছয় শতাধিক বাড়িঘর।
চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি এলাকার মিষ্টার আলী আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে তিনটি ঘর ও ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। এখন বিপদে আছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী মিয়া বলেন, যেভাবে নদের পাড় ভাঙছে, তা অব্যাহত থাকলে চিলমারী ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাবে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে যেভাবে নদের ভাঙন হচ্ছে, এতে ইউনিয়নটি শিগগির বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙন রোধের জন্য আমি সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিউল আলম বলেন, ‘আমি আপনার কাছে এমাত্র শুনলাম, সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে বাড়ছে। তবে বড় ধরনের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেওয়া তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়ছে।