‘দুই দফায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছি। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে এখন আমার নিজের কিছুই নেই। পরের জায়গা ভাড়া নিয়ে থাকি। মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই পাওয়ার জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হয়রান হয়ে গেছি।’ এভাবেই নিজের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা এলাকার রমজান আলী (৫৫)।
রমজান আলী জানান, দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাই। ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধে। দু বছর পর সেখান থেকেও চলে যেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জমি ও ঘর পেলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সেখানে জীবনটা পার করতে পারব।
জানা যায়, অভাবের তাড়নায় দিনমজুর রমজান আলীর পক্ষে সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে দিতে হয়েছে কাঠমিস্ত্রির কাজে। তাঁর বড় মেয়েটি প্রতিবন্ধী। আবেদন করেও এখনো পাননি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, পরিবারটি চুক্তিভিত্তিক অন্যের জমিতে কোনো মতে খুপরি ঘর তুলে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ভূমিহীন পরিবারটিকে জমি ও ঘর দেওয়া হলে থাকার জায়গাটি নিশ্চিত হতো।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আবেদন করলে সরকারের পক্ষ থেকে জমি ও ঘর তাঁকে দেওয়া হবে।