হোম > সারা দেশ > কুড়িগ্রাম

নাগেশ্বরীতে ছোট বন্যায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা

প্রতিনিধি, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) 

নাগেশ্বরীতে বন্যা চলছে। পানি বাড়িতে প্রবেশ না করলেও ডুবে গেছে নিচু জমির ধানক্ষেত। এতে কৃষকদের মনে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

গত ৮ দিন ধরে কখনো হালকা, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা এ বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ রোপা আমন ক্ষেত। ডুবে হয়ে গেছে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খামার নকুলা মাদার দোলা ও ভুসির দোলা, পিয়ামারির দোলার বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। বামনডাঙ্গার বোয়ালের ডারা, সেনপাড়া, অন্তাইপাড়, পৌরসভার পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটা, ভৈসতুলি, মেছনিরপাড়, মনিরচর, হরিরপাট, বানুরখামার, পয়রাডাঙ্গা, চৌবাড়ী পয়রাডাঙ্গা, কেদার ইউনিয়নের বিষ্ণপুর, সাতানা, কচাকাটা ইউনিয়নের তরিরহাট, শৌলমারী, ধনিরামপুর, বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকায়ও একই অবস্থা। দ্রুত পানি নেমে না গেলে রোপা আমন পচে নষ্ট হয়ে যাবে। 

আমন মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গভীর ও অগভীর নলকূপে সম্পূরক সেচ দিয়ে সবচেয়ে নিচু জমিতেও ধান চাষ করেছেন এ এলাকার মানুষ। অন্যান্য বছর মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ওই জমিগুলোতে পানি জমে থাকায় অধিকাংশই পতিত থাকত। অনেকেই বন্যায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সেখানে রোপা আমন চাষ করত না। এবারে তেমনটা না থাকায় তারা ভেবেছিলেন কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে উঠবে। কিন্তু ভাদ্রের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টিতে সেখানে পানি জমে তলিয়ে গেছে তাদের সে স্বপ্ন। 

বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খামার নকুলার বিমল সিংহ জানান, গত ৭ দিন যাবৎ পানিতে তলিয়ে আছে তাঁর ৭ বিঘা ধানক্ষেত। দ্রুত পানি কমে না গেলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। 

একই গ্রামের বাবু মিয়া জানান, বর্গা ও লিজ নেওয়া ৪ বিঘা জমির ধানক্ষেত পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এদিকে নতুন করে বীজতলা তৈরি, চাড়া উৎপন্ন করে তা ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে লাগানোর সময় পেরিয়ে গেছে। ক্ষেত নষ্ট হলে বিনিয়োগকৃত মূলধন হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে যেতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। একই অবস্থা ওই এলাকার শামছুল হক, কমল চন্দ্র, মতিয়ার রহমান, বামনডাঙ্গার নরেন রায়, মধুসূদন, বিষ্ণুপদ সেন, পৌরসভার পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার শহিদুল ইসলাম, আনিছুর রহমান স্বপনসহ অনেকেই। 

কেদার ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর এলাকার কৃষক হারেজ আলী জানান, তার ৫ বিঘা ক্ষেতের রোপা আমন ১০ দিন থেকে পানির নিচে রয়েছে। সেগুলো পচে গেছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এবারে উপজেলায় ২৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে ৪ হাজার ৭৮৫ হেক্টর ধানক্ষেত। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। 

মাদ্রাসার পরিচালককে হত্যার হুমকির চিরকুট, থানায় জিডি

সুদান হামলা: সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হলো শান্তিরক্ষী শান্তকে

সুদানে হামলা: শোকে বিহ্বল শান্ত ও মমিনুলের পরিবার, লাশের জন্য অপেক্ষা

পাঁচ দফা দাবিতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

রোজার আগেই নির্বাচন হতে হবে, যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না

কুড়িগ্রামে ছাত্রাবাস থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

উলিপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৬ শতক জমির বিরোধে ঝরল ভাই-বোনসহ তিনজনের প্রাণ

কুড়িগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩