কুড়িগ্রামের চিলমারীতে যাত্রীছাউনিতে শাটার লাগিয়ে দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীছাউনি দোকানঘরের মতো করায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা বলছেন, এটি সংস্কার করে যাত্রীদের থাকার উপযোগী করা হচ্ছে।
সরেজমিন জানা গেছে, চিলমারী নদীবন্দরের পথচারীদের জন্য তৈরি করা বজরা দিয়ার খাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন যাত্রীছাউনির ভেতরে ইটের দেয়াল দিয়ে বিভক্ত করা হয়েছে। এর সামনে আটটি শাটার লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, এই যাত্রীছাউনি প্রায় চার বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। ওই সময় চিলমারী নদীবন্দর থেকে যাত্রীছাউনি অনেক দূরে নির্মাণ করায় অবহেলায় পড়েছিল। সম্প্রতি এটি সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রোকুনুজ্জামান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় ঘাটের ইজারাদাররা বেআইনিভাবে যাত্রীছাউনি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, প্রভাশালীরা এই যাত্রীছাউনি দখল করে দোকানঘর করার পাঁয়তারা করছেন।
ঘাট ইজারাদারদের পক্ষে শহিদুল্লাহ কায়সার ইমু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যাত্রীছাউনি সংস্কার করা নিয়ে জনমনে তথ্যবিভ্রাট চলছে। এটি দখল বা দোকানঘর করার উদ্দেশ্য নয়। মূলত রৌমারী ও রাজিবপুর থেকে যাতায়াতকারীরা রাতে ফিরতে পারেন না, তাঁদের জন্য রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিউল আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর (স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন) সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ভেঙে দিতে বলেছেন।’