চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) এক কর্মকর্তাকে মারধরের অপরাধে আজাদ মণ্ডল (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আজাদ মণ্ডল জীবননগর উপজেলার পাথিলা গ্রামের মহর আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর জীবননগর উপজেলার পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএডিসির উপসহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
কয়েকজন দৈনিক শ্রমিককে খামারের জায়গা অবৈধভাবে দখল করা, খড়-গোবর ও কাঠ সরানোর জন্য বললে আজাদ মণ্ডল ও তাঁর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন মিজানুর রহমানকে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পাথিলা খামারের উপপরিচালক কামাল উদ্দীন মোল্লা ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর জীবননগর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ঝিনাইদহর উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল একজনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বলেন, আদালত মো. আজাদ মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধির ৩৩৩ ধারায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। রায়ে বলা হয়েছে, অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা অর্থ ভিকটিম মো. মিজানুর রহমানের চিকিৎসার ব্যয় বাবদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।