হোম > সারা দেশ > খুলনা

গ্রাম পুলিশ নিয়োগে ইউপি চেয়ারম্যানের ‘ঘুষ-বাণিজ্যের’ অডিও ফাঁস

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) নিয়োগের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নামে ঘুষ দাবি করার একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। ওই অডিওটি সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার ১ নম্বর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বলে জানা গেছে। 

অভিযুক্ত জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানের নাম বিশাখা সাহা। এ ঘটনায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 
 
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার ১ নম্বর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের (মহল্লাদার) আকের আলী গত বছর অবসরে যান। ওই শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেন। 

স্থানীয়রা বলছে, ওই পদে এখনো নিয়োগ বোর্ড গঠন হয়নি। এদিকে গ্রাম পুলিশ হিসেবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা সাহা জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া মিশন গ্রামের পীযূষ মণ্ডলের ছেলে চন্দন মণ্ডলের কাছে সাত লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি কলারোয়া থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দিতে হবে বলে এ টাকা দাবি করেন। চাকরি পাওয়ার আশায় দিনমজুর চন্দন মণ্ডল চেয়ারম্যানের ওই ঘুষের টাকায় রাজি হয়ে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান কাছে তিন লাখ টাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীর স্বজন ও চেয়ারম্যান বিশাখা সাহার একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। 

ছড়িয়ে পড়া অডিওতে শোনা যায়, (জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশাখা সাহার কণ্ঠে) ‘ভাগনে আমি মামি বলছি, চেয়ারম্যান মামি বলছি। সাত লাখ টাকার মধ্যে তোমার জমির বিষয়ে তিন দেবে আর চার লাখ আমার কাছে থাকবে সেই মতো আমি উপরে কমপ্লিট করব। অলরেডি আমি তাদের তিন দিয়ে আর আমার গাট থেকে দুই দিয়ে ওসি, ইউএনও এবং এমপিসহ উপজেলায় দিয়েছি চন্দনের নাম প্রস্তাব করে। এখন অপেক্ষা করছি কবে নিয়োগ বোর্ড হবে। তাই যে দিন হবে, সেদিন নিয়োগ বোর্ডে হাজির করে দেব।’ 

টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা চাকরিপ্রার্থী চঞ্চল মণ্ডল দাবি, সাত লাখ টাকার মধ্যে এরই মধ্যে তিনি তিন লাখ টাকা চেয়ারম্যানের হাতে জমা দিয়েছেন। 

এদিকে চেয়ারম্যান বিশাখা সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের বটু গাজীর ছেলে রাজু গাজী জানান, গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকেও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন চেয়ারম্যান। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরি কিংবা টাকা ফেরত দেননি তিনি। 

ছড়িয়ে পড়া কল রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা সাহা বলেন, ‘প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রী মহল আমার কণ্ঠ ক্লোন করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি রুলী বিশ্বাস বলেন, ‘জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানের অডিওর বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আমার অজানা ছিল। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার পরে জানতে পেরেছি। তবে আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নিই না। এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে, তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে।’

জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি এসেছে: কৃষ্ণ নন্দী

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে পথচারী গুলিবিদ্ধ

বন্দিবিনিময় চুক্তি: ভারত থেকে এল ৩২ জেলে, ফিরে গেল ৪৭ জেলে

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কুকুরের কামড়ে আহত গণসংহতি আন্দোলনের নেতা

খুলনায় গলায় ফাঁস দিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

জামায়াতের কৃষ্ণের চ্যালেঞ্জ অনেক

প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার: হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ

‘আদালতে হাজিরা দিতে এসে লাশ হয়ে ফিরলে কার কাছে বিচার চাইব’