কোটচাঁদপুরে বিষ দিয়ে শিশুকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার দুই দিন পর সৎমাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার তাঁকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে মহেশপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বন্যা খাতুন (২২) কোটচাঁদপুরের ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে।
কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা অপু কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলার পর থেকে বন্যাকে ধরতে অভিযান চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব মহেশপুরের শিশুতলা গ্রামে অভিযান চালায়। এরপর তাঁর ফুপু বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে কোটচাঁদপুর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
বাদীর অভিযোগে জানা গেছে, ১ মার্চ বিকেলে বন্যা খাতুন কৌশলে বিষ খাওয়ান শিশু মাহমুদাকে। এরপর মাহমুদাকে প্রথমে কোটচাঁদপুর, পরে যশোর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর মাহমুদা আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় তাকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর বাবা শাহিন আলম। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে ৭ মার্চ বিকেলে স্ত্রী নামে হত্যা মামলা করেন।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘ঘটনার পর শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।’