ভোলা-বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপলাইনের রুটের ভোলা-বরিশাল অংশ অপরিবর্তিত রেখে ভোলা-বরিশাল-ঢাকা করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনার বিভিন্ন সংগঠন। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে খুলনাকে যুক্ত না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে খুলনা তথা এ অঞ্চলকে অচল করে দাবি আদায় করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি
গতকাল শুক্রবার রাতে দেওয়া বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা বলেন, খুলনায় শিল্পকলকারখানা গ্যাসের অভাবে চলছে না এবং নতুন শিল্প গড়ে উঠছে না। সেদিকে লক্ষ না রেখে পেট্রোবাংলার এই সিদ্ধান্ত খুলনার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে শিল্পকলকারখানা স্থাপন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, সেটাকে অব্যাহত রাখতে পেট্রোবাংলার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছি। শুধু খুলনা নয়, মোংলা ইপিজেডেও গ্যাসের প্রয়োজন। সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে খুলনায় জনসংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, যা অন্য শহরে বাড়ছে। ইতিমধ্যে খুলনা নভোথিয়েটার, বিমানবন্দর প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে, যা প্রমাণ করে খুলনার প্রতি সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ।
অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বিবৃতি দিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সহসভাপতি মো. নিজামউর রহমান লালু, মিনা আজিজুর রহমান, শাহীন জামাল পণ, অধ্যাপক মো. আবুল বাশার, অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার, মিজানুর রহমান বাবু প্রমুখ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা অঞ্চলের নেতারা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে ভোলা-বরিশাল-খুলনা গ্যাস পাইপলাইনের রুট রাখার দাবি জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কয়েক দশক ধরে খুলনাবাসীর মধ্যে পাইপলাইনের গ্যাস নিয়ে আলোচনা চলছে। গ্যাসের অভাবে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের শিল্পকলকারখানা চলছে না এবং নতুন শিল্প গড়ে উঠছে না। সেদিকে লক্ষ না করে পেট্রোবাংলা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে শিল্পকলকারখানা স্থাপন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা যতটুকু দেখা দিয়েছিল, সেটা ধরে রাখতে পেট্রোবাংলার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, পাইপলাইনের গ্যাসের জন্য শুধু খুলনা নয়, মোংলা ইপিজেডও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়বে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিভাগীয় শহর খুলনাকে গুরুত্ব দিয়ে ভোলা-বরিশাল-খুলনা পাইপলাইনের রুট নির্ধারণ করতে হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান ও মাস্টার শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন ও সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান।