খুলনার যুবক নাঈম মোল্লা হত্যাকাণ্ডে খুলনা র্যাব-৬-এর কনস্টেবল রানু বাবু জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। টিকটকার নুসরাত আমিন সুমনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই নাঈমকে হত্যা করা হয় বলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২৫ মে রাত ৯টার দিকে রানুকে খুলনা রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক আল আমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন তিনজন। সবাই আদালততে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, র্যাবের সদস্য রানুর সঙ্গে টিকটকার নুসরাতের পরিচয় সাত মাসের। রানু প্রায়ই নুসরাতের বাড়িতে আসতেন এবং গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটাতেন। ২২ মে সন্ধ্যার পর নুসরাতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা নাঈমকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। পরদিন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নাঈমের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রহিম আজ শুক্রবার বলেন, নাঈম হত্যার পর র্যাবের সদস্য রানু নাওগাঁ চলে যান। পরে তিনি ২৫ মে খুলনা ফিরলে পুলিশ রেলস্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে পরদিন তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ, ২৩ মে ভোরে নগরীর শিপইয়ার্ড মেইন রোড এলাকায় নাঈমের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ সুমনা ও তাঁর মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। রাতে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মুখ খোলেন সুমনা। পরে এ ঘটনায় বাদী হয়ে লবণচরা থানার এসআই বেল্লাল হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুমনা ও তাঁর মা।