রাজশাহীতে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। ব্যথা নিরাময়ের জন্য কিছু ঔষধ দিয়েছেন চিকিৎসক। আপাতত তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।
আহত সাজ্জাদ বলেন, ‘মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে দেখতাম ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ফলে যাত্রী আহত। কিন্তু আমার সঙ্গে আজ এমন ঘটনা ঘটে যাবে, তা কখনোই ভাবতে পারিনি।’ যারা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলাম। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলাম। ট্রেন ছাড়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আমার সিটে হেলান দিয়ে শুয়েছিলাম। জানালা খোলা ছিল। ট্রেনটি হরিয়ানা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে একটি পাথর এসে আমার মাথায় লাগে। সে সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাৎক্ষণিক ট্রেনের স্টাফরা দ্রুত ছুটে এসে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ফলে রক্ত বন্ধ হয়।’
আহত এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাথা কেটে গিয়েছে। তবে কোনো সেলাই দিতে হয়নি। শৈলকুপার নিজ গ্রামে পৌঁছেছি বেলা ১টা ৩০ মিনিটে। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়েছি। তিনি ব্যথা নিরাময়ের জন্য কিছু ওষুধ দিয়েছেন। রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।’
সাজ্জাদ হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার ধলহর চন্দ্র ইউনিয়নের লাঙ্গলবাধ গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে।