বাগেরহাটে এনজিওকর্মীকে গণধর্ষণ ও ছবি ধারণের মামলায় তিন যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম এই রায় দেন। একই সঙ্গে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া মাইট কুমড়া গ্রামের শের আলীর ছেলে মো. মামুন শেখ, ছোট খাজুরা গ্রামের মিরাজ নিকারির ছেলে মো. ফিরোজ নিকারি ও ভট্ট বালিয়াঘাট এলাকার মুজিবুর বিশ্বাসের ছেলে ইব্রাহিম বিশ্বাস।
এর মধ্যে মো. ফিরোজ নিকারি পালাতক রয়েছেন।
বাগেরহাট পুলিশের মিডিয়া সেলের সমন্বয়কারী ও পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। সেই সঙ্গে আসামিদের ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া মাইট কুমড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকা অবস্থায় এক এনজিওকর্মীকে গণধর্ষণ ও আপত্তিকর ছবি ধারণ করেন কয়েক যুবক। পরের দিন ওই এনজিওকর্মী বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই দিনই পুলিশ মো. মামুন শেখ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ইব্রাহিম বিশ্বাস নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য শেষে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এই রায় প্রদান করেন।