জীবিকার তাগিদে পাঁচ বছর আগে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঢাকায় যান মানিক দাস (৩০)। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি। মানিক কোথায় আছেন, কেমন আছেন জানেন না কেউ। ছেলের সন্ধান পেতে ব্যাকুল বাবা। নিখোঁজের পাঁচ বছর পর করলেন থানায় অভিযোগ।
এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। গতকাল বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর থানায় ছেলে নিখোঁজের অভিযোগ করেন বাবা সূর্য্য দাস। তিনি ওই উপজেলার হরিণদীয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মানিকের বাবা সূর্য্য দাস বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমার ছেলেকে একই গ্রামের সুন্দর দাসের ছেলে অলোক দাস (২৮) কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন তারা একসঙ্গে কাজ করে। একপর্যায়ে দুজন দুজনের মতো কাজ করতে থাকে। কিছুদিন পর কেউ কারোর খোঁজও রাখেনি, আমরাও যোগাযোগ করতে পারেনি।’
সূর্য্য দাস আরও বলেন, ‘অলোক দাস বাড়িতে এলেই মানিকের কথা জিজ্ঞেস করতাম। এ সময় বিভিন্ন অজুহাতে পাশ কাটিয়ে যেত সে। এভাবেই চলে পাঁচ বছর। সম্প্রতি অলোক দাস ঢাকা থেকে বাড়ি আসার খবরে ছুটে যাই তার বাড়িতে। জিজ্ঞাসা করি, ছেলের কথা। কোনো উত্তর না পেয়ে গতকাল থানায় অভিযোগ করি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানিকের বাবা ছেলের সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অলোক দাসকে থানায় নেওয়া হয়েছিল। চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
এএসআই আরও বলেন, মানিককে খুঁজতে থানায় লিখিত দিয়ে সময় নিয়েছেন মানিক দাস। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে খোঁজার জন্য চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি। খুঁজে না পেলে ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।