নামমাত্র সড়ক সংস্কার করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার দেবহাটার সখীপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও অল্প শ্রমিক দিয়ে দায়সারাভাবে শেষ করা হয়েছে প্রকল্পের কাজ। কাজ শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সংস্কার করা সড়কের একটি অংশ দেবে যেতে শুরু করেছে। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রথম কিস্তিতে প্রকল্পের বরাদ্দের ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের তথ্য পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় দেবহাটা উপজেলার ৪১টি প্রকল্পে প্রায় ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৮৩২ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এর মধ্যে চণ্ডীপুরের মাহবুবর গাজীর বাড়ি থেকে শাহজান সরদারের দোকান পর্যন্ত ইটের সলিং রাস্তা সংস্কারে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সম্প্রতি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করেছেন প্রকল্পের সভাপতি ও সখীপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য জুলেখা খাতুন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের চেয়ে রাস্তা প্রস্থে ছোট করা হয়েছে। রাস্তার ইট দিয়েই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। পুকুরের পাশের চিকন বাঁশ ও কঞ্চি দিয়ে প্যালাসাইডিং দেওয়া হয়েছে, যা ছয় মাসও টিকবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই প্রকল্পের সভাপতি জুলেখা খাতুন বলেন, ‘দুই কিলোমিটার সড়কের সংস্কার করতে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিকের প্রায় ১০ দিন লেগেছে। ১ হাজার ইট কিনে রাস্তাটি সংস্কার করেছি। সব টাকা রাস্তাতেই শেষ।’
এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিউল বাশার বলেন, ‘প্রকল্পের অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রথম কিস্তিতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের তথ্য পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’