খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে এ মহাসমাবেশ হয়।
এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কাল শনিবার ভোর ৫টা থেকে পরদিন রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় সড়ক অবরোধ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরও দাবি আদায় না হলে দুর্গাপূজার পরে হরতালসহ লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন আয়োজকেরা।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে ভাঙা ব্রিজ ঘুরে চেঙ্গী স্কয়ারে এসে শেষ হয়। পরে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার সব উপজেলা থেকে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীসহ নানান বয়সী মানুষ মহাসমাবেশে অংশ নেন।
উক্যনু মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ শিক্ষার্থী কৃপায়ণ ত্রিপুরা, কবিতা চাকমা, আকাশ ত্রিপুরা, ওয়াবাই মারমা, সচিব চাকমা, বাগীস চাকমা, অংসাই মারমা, অংসুই মারমা প্রমুখ।
সভাপতিত্বে বক্তব্যে উক্যনু মারমা বলেন, কাল ভোর ৫টা থেকে পরদিন রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় সড়ক অবরোধ পালন করা হবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে হরতালসহ লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের নারী ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার চাই। আমরা কি এই দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারব না। আজকে আমরা ধর্ষণের বিচার চাইতে এসেছি। সারা দেশে নারী-শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি দেখছি, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলেও এই সংস্কৃতি চর্চা করা হয়েছে। আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরও সেখান থেকেও উদ্ধার হয়নি।’
এদিকে শহরের চেঙ্গী স্কয়ার সড়কে মহাসমাবেশ করায় শহরের সব সড়কে দেড় ঘণ্টা ধরে যানজট দেখা যায়। এতে যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর সদর জোনের সহযোগিতায় শয়ন শীল নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।