ঝিনাইদহ সদরের আরাপপুর ধোপাপাড়া এলাকায় স্বামীর মারপিটে স্ত্রী সীমা খাতুনের (২৫) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়ে। তিনি ওই এলাকার জহুরুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহতের ননদ আকলিমা খাতুন জানান, তাঁদের যৌথ পরিবার ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ছিল। কিন্তু তার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম নিয়মিত নেশা করতেন। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে প্রায়ই গোলমাল হতো।
এরই জেরে গেল এক মাস আগে তার ভাই জহুরুল ইসলাম জেলা শহরের আরাপপুর ধোপাপাড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু শনিবার দুপুর ২টার দিকে তাঁর ভাবি সীমা খাতুনকে ভাই ইট দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে ভাবিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুসলিমা জিনাত রহমান জানান, সীমা খাতুনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাথায় আঘাতের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।