পূজা সরকার আর বিশ্বনাথ শর্মা পড়তেন একই ক্লাসে। দুজনই এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। দুজনের বাড়ি একই এলাকায়। তিন বছর প্রেমের পর বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের এক বছর পার না হতেই পূজার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুরের পালপাড়ায়।
বিয়ের পর বিশ্বনাথের পরিবার তাঁদের মেনে নিলেও পূজার পরিবার মেনে নিতে চায়নি। তবে সম্প্রতি তৃতীয় পক্ষের সমঝোতায় সেই বরফ গলে। উভয় পরিবারে স্বাভাবিক সম্পর্ক হয়। গতকাল শনিবার বাবার বাড়ি যান পূজা। আজ রোববার ভোরে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতের শ্বশুর নাড়ু শর্মা এই তথ্য জানিয়েছেন।
পূজার বাবা বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, সকালে নিচের ঘরে পূজার মা রান্না করছিল। ওপরে গিয়ে পূজাকে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বাথরুমের দরজা দিয়ে দেখতে পান পূজার দেহ ঝুলছে। পূজার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক এখন কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে সব ঠিক হয়ে গেছে। মেয়ের জেদের কারণেই আজ এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে পূজার মা মল্লিকা শর্মার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কারণেই তাঁর মেয়ে আজ গলায় রশি দিয়েছেন। তিনি তাঁদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলবেন।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, পূজাকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’