‘এ দেশের মানুষ ন্যায় বিচার যাতে স্বল্প সময়ে পায় এটা আমাদের লক্ষ্য। সৃষ্ট মামলার জট নিরসনে বিচারকদের বলা হয়েছে। আপ্রাণ চেষ্টা করে কাজ করার জন্য যাতে দ্রুতই এর সমাধান হয়। এ ছাড়া আদালতে সেবা নিতে আশা মানুষ যাতে কোনো কষ্টে না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখছি। আদালতে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে এ ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে।’
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দুর্নীতি একটা ক্যানসার, আমার হাতে পাঁচটা আঙুল আছে, যদি একটি আঙুলে ক্যানসার হয় তাহলে বড় চিকিৎসা হচ্ছে সেটা কেটে ফেলা। যে জজ বিচার বিক্রি করে সে জজকে আঙুল হিসেবে কেটে ফেলতে আমি একটু দ্বিধা করব না। একজন ডাকাত চড়থাপ্পড় মেরে গয়না নিয়ে যায়, কিন্তু একজন জজ যদি বিচারের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে একজনের সম্পদ অন্যজনের দিয়ে দেয়, তাহলে সে ডাকাতের চেয়েও খারাপ। এমন অন্যায়ের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। যদি কোনো জজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা, জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম, সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ কুমার ঘোষ, পিপি অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেনসহ আইনজীবীরা।