যশোরের ঝিকরগাছা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। দোকান থেকে ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন জব্দের পর অভিযুক্ত ব্যক্তির থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওয়ালিদ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যাড অপস) আবুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝিকরগাছা থানা-পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আজ তদন্ত শেষে মৌখিকভাবে ওই দুই কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট শার্শা ও ঝিকরগাছা থানা-পুলিশ নাভারণ পুরোনো বাজারের ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী সাইফুলের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫৩টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করে। তবে অভিযোগ ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি লেন্টুর মধ্যস্থতায় পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা ও দুটি ফোন হাতিয়ে নিয়ে সাইফুলকে ছেড়ে দেয়।
এরপর গত রোববার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেলের নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা পুনরায় সাইফুলের দোকানে অভিযান চালান। এ সময় সাইফুলকে আটক করা হয় এবং তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ি থেকে ৪৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে আটক সাইফুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘থানার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা দোকানে গিয়ে কেন ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করতে পারেননি এবং অসৎ উপায় অবলম্বন করে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তাঁদের দুজনের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। শুনেছি, পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে আমার কাছে এখনো চিঠি আসেনি।’