জামালপুরের মেলান্দহে গ্রিন বায়োটেকনোলজি নামের একটি কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর এক তরুণীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল হুমায়রা জেমি (২২), বরগুনার মরখালী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. মাসুম (২৫), মেলান্দহ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মোহাম্মদ সানি (২৬), একই উপজেলার বয়রাডাঙ্গা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে লিখন আহমেদ সাকিব (২৭) ও একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোশারফ মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে গেছে, আজ ভোরে জেমি ও সামিউল ইসলাম জাম্বু নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। পরে কারখানায় হামলা চালায় তারা। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামবাসীরা এসে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনসহ পাঁচজনকে আটক করে। এর আগেও কয়েকবার ওই কারখানায় তারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খারখানার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে আজ ভোরে রড, হকিস্টিক, পেট্রলবোমা, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালানো হয়। প্রথমে তারা দুটি ফাঁকা গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে কারখানার গেটে ভাঙচুর করে। এর আগেও এই দলটি চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করব।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের সময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের কাছেও বাধার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।