হবিগঞ্জ বাহুবল উপজেলায় এক ইমামের বিরুদ্ধে ৭ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় মাতব্বররা বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। সমাধান না হওয়ায় ঘটনার একদিন পর রোববার বিকেলে ওই শিশুকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববার রাতেই শিশুর বাবা বাদী হয়ে মসজিদের ইমাম ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (২২) উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের আকরম মিয়ার ছেলে। তিনি চিচিরকোর্ট গ্রামের পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে গত ৪ মাস ধরে ইমামতি করে আসছেন। পাশাপাশি মক্তবেও শিক্ষকতা করতেন তিনি।
জানা যায়, গত শনিবার রাতে গ্রামের এই মসজিদে মহররম উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিলে গ্রামের অন্যান্যদের সঙ্গে ৮ / ১০ জন শিশু কন্যাও উপস্থিত হয়। মিলাদ মাহফিল শেষে চিচিরকোর্ট গ্রামের জনৈক ব্যক্তির শিশু কন্যাটি প্রস্রাব করার কথা বললে ইমাম ফরিদ মিয়া পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশ থেকে আসা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় মাতব্বররা দিনভর বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, মসজিদের ইমাম ফরিদ মিয়া আমার শিশু কন্যাকে মসজিদের পেছনের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে আমি এই শিক্ষককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ইমামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কোনরকম বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলার চিচিরকোর্ট গ্রামে শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশু কন্যাকে মেডিকেল চেকআপের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ইমাম ফরিদ মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।